স্বাধীনতার পর চলে আসা সংসদ কাঠামো ভেঙে নতুন কাঠামোর প্রস্তাব রাখতে সংবিধান সংস্কার কমিশন।খসরা অনুসারে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদে আসন হবে৫০৫ টি থাকবে রাষ্ট্রপতির হাতে বিশেষ ক্ষমতা নিশ্চিত করা হবে পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব।জাতীয় সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সংসদের নিম্ন কক্ষে থাকতেন ৪০০ টি আসন নির্বাচন হবে বর্তমান পদ্ধতিতে এর মধ্যে ৬১ আসনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।তারা নির্বাচিত হবেন সরাসরি ভোটে।আর উচ্চ ১০৫ নির্বাচন হবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট আসন হবে ৫০৫ টি।সংবিধান সংস্কার কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ঠেকাতে বা এক ব্যক্তির হাতে যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত না হয়ে যায়।সেজন্য ক্ষমতা ভারসাম্য রাখতে বেশ কিছু সুপারিশ করবে কমিশন।পাশাপাশি বিদ্যমান সংবিধানের মূলনীতিতে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হবে।আজ বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কাছে প্রতিবেদন জমা দিবে কমিশন গুলো।সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়াও নির্বাচন ব্যবস্থা,দুর্নীতি দমন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনও প্রতিবেদন জমা দেবে।প্রথম ধাপে গঠন করা সংস্কার কমিশন এর মধ্যে সম্পন্ন দুটি বিচার ব্যবস্থা ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন চলতি মাসের শেষে জমা দেয়ার কথা রয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় সংস্কার কমিশন গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করবে।এই লক্ষ্যে তাদের প্রতিবেদনে থাকবে সেগুলো মূলত দুই ধরনের হবে কিছু হবে।সল্পমেয়াদে বাস্তবায়নে ও কিছু হবে দীর্ঘ মেয়াদী।তবে কিছু সুপারিশ করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।এখন সংসদ নেই ফলে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সংসদ গঠন না করা পর্যন্ত সংবিধান সংস্কার বা সংশোধন করার সুযোগ নেই। কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে অন্তবর্তীকালীন সরকার।চলতি মাসেই এই আলোচনা শুরু হতে পারে। সংস্কার প্রস্তাব এবং এগুলোর বাস্তবায়িত নিয়ে ঐক্যমত হলে সংলাপ থেকে একটা রুপ লেখা আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাব করা হয়েছে উচ্চকক্ষের,সমাজের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির হাতে পাঁচটি আসন দেয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতি এই পাঁচ আসনে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দেবেন।উচ্চকক্ষের বাকী ১০০ টি আসনে নির্বাচনে হবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে অর্থাৎ দল গুলো নির্বাচনের মাধ্যমে সারাদেশের যত ভোট পাবে তার অনুপাত উচ্চকক্ষে আসন পাবে দলগুলোর।বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরেই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সমস্যার কথা বলে আসছে বিএনপি লিখিত ভাবে সংবিধান সংস্কার কমিশনকে যে ৬২ দফার প্রস্তাব দিয়ে ছিল।সেখানেও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের কথা বলেছে।জাতীয় নাগরিক কমিটির দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার কমিশনারের মতবিনিময় অংশিজনের,অনেক বিশিষ্ট সংসদ চালুর প্রস্তাব দেন।নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার কমিশন সংসদের নিম্ন কক্ষে বিদ্যমান পদ্ধতিতে এবং উচ্চকক্ষে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।