গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চলছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠ।দুই দেশের মধ্যে যখন উত্তেজনা চরমে ওঠে তখনই সামনে এলো বিজিবির জয়ের খবর।দীর্ঘদিন ভারতের দখলে থাকা সম্পত্তি উদ্ধারের তৎপর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ৪০ পাড়া সীমান্তর উপরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি সীমান্ত।ভারত ভূখণ্ডের জলঙ্গীর সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া না দেয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই এই সীমান্তে দুই দেশের এলাকা অরক্ষিত।এখানে নেই কোন সীমানা পিলার।আন্তর্জাতিক সীমানা রেখা বাংলাদেশ অংশে পোড়ানো হচ্ছে সাদা পতাকা।দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের একাধিক বৈঠক ও পত্র চালাচালির পর অবশেষে ৪০ পাড়া সীমান্ত এলাকার অরক্ষিত ভূখণ্ড বা জমি ফেরত পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।সেখানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থাপন করা হবে সীমানা পিলার।পদ্মার শাখা নদীর তীর ঘেঁষে জেগে ওঠা ভূখণ্ড বেদখলে থাকায় জমি ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় সীমান্ত এলাকার মানুষ।জমি ফেরত পাওয়ার আশায় তাদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তির।বাংলাদেশের সীমান্ত পিলার স্থাপন মিলেছে আশানুরূপ সাড়া।দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে নেয়া হবে কার্যকর পদক্ষেপ।বিজিবি সেক্টর কমান্ডার,কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক,কর্ণেল মারুফুল আবেদিন বলেন, ৪০ পাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা বড় এলাকা আছেন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমরা আজকে সাদা ফেলাক দিয়ে মার্কিং করেছি।এটি পদ্মা নদীর একটা শাখা নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার কারণে।আগে আমাদের ওই শাখা নদী বরাবরই এই জায়গাটাই আগে শাখা নদী ছিল তো এই শাখা নদীর বরাবরই নদীর রেফারেন্স প্লেয়ারের মাধ্যমে আমাদের বাওন্ডারী পিলারটা ছিল।আন্তর্জাতিক সীমানা একাধিক সীমারেখা এবং এটি হচ্ছে পরবর্তীতে আমরা আপনার আমাদের বর্ডার গার্ড ১৯৭৫ অনুযায়ী যেহেতু নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে গেছে এবং এখানে নতুন চর জাগ্রত হয়েছে।তখন আমরা গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি জয়েন্ট সার্ভের মাধ্যমে আমরা আমাদের এই শূন্যরেখা টা পরিবর্তন করে মার্কিং করি।এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমাদের বারংবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তারা ইতিমধ্যেই আমাদের সারর্ভে অফ বাংলাদেশের কাছে চিঠি দিয়েছে।আগামী ২৯শে জানুয়ারি আমাদের পূর্ববর্তী ৬টি পিলারের সংস্কার কার্যক্রম হবে।সেটি পরবর্তীতে আমাদের এখানে চূড়ান্তভাবে পিলার টি নির্মাণ হবে আর পিলারটি চুড়ান্ত ভাবে নির্মাণ হলে চুড়ান্তভাবে সমাধান হলো।অধিনায়ক,৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ান,কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মাহবুব মর্শেদ রহমান পিএসসি বলেন,যেমন টি আপনি দেখেছেন ইতিমধ্যে আমাদের সেক্টর কমান্ডার আমার সাথে আমাদের এই অঞ্চলে এসেছেন এবং আমাদের নতুনভাবে যে জায়গাটুকু আমরা দেখছি আখড়া লক্ষ্য করেছেন।এটা বিপুল পরিমান জায়গা এটা আমরা আমাদের নিয়ন্তনে আছে।আমাদের এখানকার সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে পারছে এবং এটা আমাদের জন্য ধরনের সমস্যা এবং কোন ধরনের প্রবলেম আমার ফেস করছি না।এখানে সাধারন জনগন অত্যন্ত খুশি তারা দ্রুত এখানে চাষাবাদ করার কার্যক্রম করতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী। আপনারা জেনেছেন যে পাশাপাশি সেখানে স্থানীয় পর্যায়ে বিএসএফ বিজিবির দুপক্ষ এখানে সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং আমরা সেভাবেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছি যেমনটি আমরা আগেও বলেছি।আবারো ব্যক্ত করতে চাই আমাদের সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গাও আমরা কাউকে ছাড় দেয়নি এবং আমরা সেখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণ এবং আমাদের কার্যক্রম পুরোদমে চালু রেখেছে এবং কন্টিনিউ থাকবে।বাংলাদেশ ভূখণ্ড পরিদর্শন করেন কুষ্টিয়ার বিজিবি সেক্টর কমান্ডার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় ভারতের১৪৬ বিএসএফ-এর ব্যাটেলিয়ানের একটি টহল দলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন তারা।