শিরোনাম

পর্নোগ্রাফি খ্যাত লজ অ্যাঞ্জেলেস


মো.জসিম উদ্দিন:
যখন একটি জাতি পাপাচারের সীমা ছাড়িয়ে যায় আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে নানানভাবে সতর্ক করেন কখনো প্রকৃতির ভয়ঙ্কর তান্ডব।এর মাধ্যমে কখনো আবার মানুষের সৃষ্টির দুর্যোগের মাধ্যমে।পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে স্থলে ও সমুদ্রের বিপর্যয় দেখা দেয় মানুষের হাতে কৃতকর্মের কারণে।
যাতে তাদের কর্মের কিছু ফল ভোগ করানো হয় এবং তার ফিরে আসে।লজ অ্যাঞ্জেলেসের সাম্প্রতিক দাবানল যেনো এরকমই এক সতর্ক বার্তা।কারণ এই শহর তারকা ও বিত্তশালীদের বিলাসবহুল জীবন যাপনের বাহিরে ছিল অন্ধকার এক জগত।অশালীনতা মোড়ানো এ শহরের সানফাওয়ার ভ্যালি এলাকা পর্নো সিনেমা তৈরির জন্য বেশ পরিচিত।যার ফলে কেউ কেউ এ জায়গা কে পাপের নগরী বলেও সম্মদন করেন।

সারাবিশ্বে প্রাণকেন্দ্র হলিউড শুধুমাত্র চলচ্চিত্রের কেন্দ্র হিসেবেই নয় কারো কাছে মাদকাসক্তি ও অমিতব্যায়িতা নৈতিক অবক্ষয় ও সীমালঙ্ঘনের প্রতীক।সম্প্রতি এই শহরে পরিণত হয়েছে এক ভয়ঙ্কর দাবানলের বাকে হাজার হাজার একর জমি পুড়ে ছাই।আকাশ ঢেকে গেছে ধোয়ায় আর মানুষের চিৎকার।যেন বাতাসে মিশে যাচ্ছে চারদিনের দাবানলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন ধ্বংস হয়েছে অন্তত ১০ হাজারেরও বেশি স্থাপনা।প্রকৃতির এই তান্ডব কি কেবলই একটি দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে রয়েছে কোন গভীর বার্তা।

বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস কারী সংস্থা একুশের দাগের তথ্য অনুযায়ী এই দাবানলের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৩৫ থেকে ১৫০বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশের প্রতি মানুষের অবহেলা এই দাবানলের অন্যতম কারণ।কিন্তু ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এমন শুধু প্রাকৃতিক নয় বরং এটি হতে পারে মানুষের জন্য আল্লাহর একটি সতর্কবার্তা।তাইতো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন অশ্লীলতা এবং নির্লজ্জতা কোন কিছু সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না বরং তা ক্ষতিকর।সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কিছু এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন।
তবে পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি এই ঘটনা যেন মনে করিয়ে দেয় সীমা অতিক্রম করলে শাস্তি অনিবার্য।আল্লাহর ইচ্ছার সামনে অসহায়।

Comments are closed.