বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্থগতি করা হয়েছে।সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।রাজধানী বাংলামটরে সংগঠনের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠান স্থগতি করা হলেও শহীদ মিনারের সমাবেশ হবে বলে জানা গেছে।এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান বাংলাদেশের পত্রিকা’কে বলেন,পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী শহীদ মিনারে তারা সমাবেশ করবেন।সেখানে তারা সবাই জড়ো হয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে প্রস্তাবনা তুলে ধরবেন।

জানা গেছে,অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে,জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির যে উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে।সেটিকে স্বাগত জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এর আগে শনিবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে।জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল ছাত্র আন্দোলন।আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল।ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বা জনআকাঙ্খাকে দালিলিক রুপ দেওয়া হবে বলে,জানায় বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন,জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পত্রের ঐতিহাসিক ব্রিটিশ সময়ের থেকে বর্তমান সময়ের সব ইতিহাস আসবে এবং এতে জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান অন্তর্ভুক্ত হবে।

এদিকে সোমবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে,জাতীয় ঐক্যমতে ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরি উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে।জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য ফ্যাসিবাদীবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্খাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক জরুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন,গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে।এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে।

শফিকুল আলম আর বলেন,আমরা আশা করছি,সকলের অংশগ্রহণের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণা পত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।