শিরোনাম

সীমান্তে এক সাহসী অফিসারের গল্প


চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে তখন কঠিন পরিস্থিতির।ভারতীয় দিক থেকে আসছে ক্রমাগত উস্কানি।কিন্তু একজন সেনা কর্মকর্তার দিরুস্থির দিরুদ্ধে নেতৃত্বে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন সাহসের সঙ্গে।সীমান্তে বসবাসকারী সাধারণ মানুষকেও আস্থার সাথে নিয়েছেন পাশে।তিনি বিজিবি মহানন্দা ৫৯ ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া চাপাইনবয়াবগঞ্জ চৌকা সীমান্তে জোর করে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে আম বড় এবং ফসল কাটতে চেয়েছিল ভারতীয়রা।বাংলাদেশীরা তা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে তৈরি হয় তুমুল উত্তেজনা এমনকি ওপার থেকে গোলা কক্টেল এবং টিয়ার গ্যাস ছোড়ে বিএসএফ।তবেপুরো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিজিবির সৈন্যরা।আর ঠান্ডা মাথায় জনগণ ও সৈন্যদের নেতৃত্ব দিয়ে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন মহানন্দা ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।পতাকা বৈঠকে নিজেদের কর্মকাণ্ডে বিজিবির কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় বিএসএফ সদস্যরা।অধিনায়ক গোলাম কিবরিয়া কিবরিয়ারা সফল নেতৃত্বের সীমান্ত এলাকায় সাহসী ভূমিকা জনগণও।ঘটনার দিন বিকেলে সীমান্তর শুন্যরেখায় অধিনায়ক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় পতাকা বৈঠক।এসময় উত্তেজনার গাছ ও ফসল কাটার বিষয় নিয়ে ক্ষমা সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।পুরো বিষয়টি সামাল দিয়ে গোলাম কিবরিয়া জানান চৌকা সীমান্তে দিনভর উত্তেজনা থাকলেও বিকেলের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।বর্তমানে কঠোর নজরদারি চলমান আছে ১ হাজার ২শ গজ কাঁটাতারের বেড়া বিহীন এই সীমান্ত ও এলাকায়।মাঠে কাজ করা কৃষক বাদে অন্য কাউকে সেদিকে যেতে দেয়া হচ্ছেনা।উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমাল এবং তাদের সরিয়ে দেয়ার।পাশাপাশি ওপারের সীমান্ত থেকেও কাউকে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছেন বি জি বি।অধিনায়ক গোলাম কিবরিয়া বলেন,বিজিবি আমরা দিন-রাত প্রস্তুত আছি আমরা ইনশাল্লাহ যেকোনো পরিস্থিতি আমাদের বিজিবি কন্ট্রোলে আছে।এর আগে বেলা ১টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল।এরপর মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের।সেদিন কিরণগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় অংশের জমি থেকে গম ও গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া অভিযোগ করেন দেশটির বাসিন্দারা।এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা কয়েক জন বাংলাদেশিকে আটক করতে গেলে বাধা দেয় গ্রামবাসীর।এ নিয়ে দেশের সীমান্ত বাসীদের উত্তেজনা সেসময় গোলাম কিবরিয়া বলেছিলেন বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।যেটা আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন কেউ যাতে শূন্যরেখা অতিক্রম না করে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। বিজিবি পাশে দেশপ্রেমিক জনগণ ও আছেন বলেও জানান এই অধিনায়ক।তিনি বলেন,আপনাদের কে সহযোগিতা করার জন্য আমরা বিজিবি সবসময় আছি।ঐ পাশ থেকে যদি বিএসএফ শুণ্যলাইন অতিক্রম করে অথবা ওদের গ্রামবাসি অতিক্রম করে এটা দেখাশোনার দায়িত্ব আমাদের।এখন সীমান্ত এলাকা স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের বিজিবি অধিনায়ক।তবে  অতিরিক্ত সীমান্তে বাড়তি নজরদারির মোতায়েন আছে বাড়তি সদস্য পাশাপাশি এ ঘটনায় ৫৯ বিজিবি অধিনায়ক এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্ত এলাকায় না যেতে এবং কৃষক ও স্থানীয় জনসাধারণের ফসলের মাঠ নষ্ট না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যে উৎসুক জনতা  ১০হাজার ১২ হাজার লোক এখানে, আপনাদের মাঠে প্রবেশ করে,আপনাদের ফসল নষ্ট করতেছে, এই ক্ষতি কি ভারতের লোকজন করছে,সুতরাং আপনাদের  এই ব্যপারে  সচেতন হতে হবে। কেউ যেন এই আমাদের কৃষকদের জমি নষ্ট না করে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments