এবার বিদ্যুৎও বকেয়া বিল পরিশোধের বাংলাদেশকে নতুন করে সময় বেঁধে দিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী আদানি গ্রুপ। এরইমধ্যে পিডিপি’কে চিঠি দিয়েছে গোষ্ঠী। কোম্পানিটির দাবির পক্ষে প্রায় ৮৫ কোটি ডলার আদায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা তবে কি আছে আদানির পাঠানো ওই চিঠিতে।ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের পণ্য ও সেবা আমদানি করে বাংলাদেশ।আমদানির বিপরীতে রপ্তানির পরিমাণ খুবই সামান্য। দেশটির সঙ্গে শুরু থেকেই বড় অংকের বাণিজ্য ঘাটতিতে রয়েছে বাংলাদেশ।এ ঘাটতি এখন আরো বড় করে তুলেছে ভারতের ঝাড়খণ্ডের ঘড়ায় স্থাপিত আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানির।কেন্দ্রটি থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে।সে অনুযায়ী ২০২২ অর্থ বছর থেকেই আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কে।এদিকে অসম চুক্তি নিয়ে বিতর্কেরও মধ্যেই এবার বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধের নতুন করে সময় বেঁধে দিয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীক গোষ্ঠীটি।এবিষয়ে ১৯ জানুয়ারি একটি চিঠি পেয়েছে পিডিপি।চিঠিতে বলা হয়েছে আগামী জুনের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে এর আগে গত বছরের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দিয়েছিল আদানি গ্রুপ। ঐ সময় একটি ইউনিট থেকে উৎপাদন বন্ধ করে চাপ দেয় তারা।পিডিপিকে পাঠানো ওই চিঠিতে আদানি বলেছে পিডিপির কাছে তাদের পাওনা ৮৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পিডিপিকে সরবরাহ করা বিদ্যুতের বিল হিসেবে এবং এ বকেয়া জমেছে,জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ করা না হলে চুক্তি অনুসারে বিলম্ব ফি হিসেবে পরিশোধ করতে হবে বলেও পিডিপিকে জানায় আদানী।এ বিষয়ে পিডিপি সূত্র বলছে ৯ জানুয়ারি আদানিও পিডিপির প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক হয় ওই বৈঠকে বকেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এর ভিত্তিতেই এখন আনুষ্ঠানিকভাবে এই চিঠি দিয়েছে আদানি গ্রুপ। বৈঠকে আলোচনার বিষয়টি উল্লেখ করে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে বকেয়া শোধ না হওয়ায় তারল্য সংকটে ভুগছে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের বকেয়া বিল ৩০ জুনের মধ্যে শোধ করা হলে বিলম্ব ফি মওকুফ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আদানির ওই চিঠিতে।বকেয়া বিল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই চিঠি চালাচালি করছে আদানি ও পিডিবির বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ভারতের ঝারখন্ড রাজ্যের গোড়ায় নির্মিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দু’টি ইউনিট আসে এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ।