শিরোনাম

৫০০ আসনের সংসদ হতে যাচ্ছে 


মো.জসিম উদ্দিন:জাতীয় সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। খসরা প্রস্তাব অনুযায়ী সংসদের নিম্ন কক্ষে থাকবে ৪০০ আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান পদ্ধতিতেই এর মধ্যে ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।তারা নির্বাচিত হবেন সরাসরি ভোটে।উচ্চকক্ষে আসন থাকবে ১৬২ নির্বাচন হবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট আসন হবে ৫০০ পাঁচটি সংবিধান সংস্কার কমিশনের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।সাংবিধানিক একমাত্র টাকা দিয়ে বা এক ব্যক্তির হাতে জাতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে না যায়।সেজন্য ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে বেশ কিছু সুপারিশ করবে এই কমিশন।সংবিধানের সংস্কার কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে শেষ মুহূর্তে কাজ করছে।

 

১৫ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস এর কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা।সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়াও নির্বাচন ব্যবস্থা দুর্নীতি দমন ও পুলিশ কমিশন একইদিন প্রতিবেদন জমা দেবে।

অনুষ্ঠানগুলো পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায় সংস্কার কমিশন গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করবে।মূলত দুই ধরনের প্রস্তাবের মধ্যে কিছু স্বল্পমেয়াদে আর কিছু দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য।
কমিশন গুলো প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।চলতি মাসেই এই আলোচনা শুরু হতে পারে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে কক্ষপথ হলে সংলাপ থেকে একটি রূপরেখা আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।বিএনপি সহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথা বলে আসছে।বিএনপি লিখিতভাবে সংবিধান সংস্কার কমিশন কে যে ৬২ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল সেখানেও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের কথা বলেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।অধিক অক্ষ বিশিষ্ট সংসদে প্রস্তাব দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার কমিশনারের মতবিনিময় ও অংশীজনের অনেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালুর প্রস্তাব দেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন,তাদের যেসব সুপারিশ থাকবে তার অন্যতম লক্ষ্য হবে জন আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করা এবং সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ঠেকানোর জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এর উপর জোর দেয়া হবে।জাতি এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার সুযোগ আর না থাকে।
নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন,সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হবে তিনি আশা করেন এর মধ্য দিয়ে একটি কক্ষপথে পৌঁছানো যাবে।দুদকের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে একটি কাঠামো প্রস্তাব করা হতে পারে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংস্কার কমিশন গুলোর সুপারিশ নিয়ে কতটা ঐক্যমত তৈরি করা যাবে তা নিয়ে কেউ কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ মনে করেন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ করে বিএনপি জামাত বা শিক্ষার্থীদের মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে।তবে আলোচনার টেবিলে তার সমাধান সম্ভব।এসব তথ্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক প্রথম আলো।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments