আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কিভাবে দেশ ছাড়লেন পুলিশের কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।দুই সপ্তাহের মধ্যে আইজিপিকে ব্যাখ্যা দিতে ও বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর এডভোকেট মোঃ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তাজুল তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ও তিন মাস তিনি দেশের মধ্যেই ছিলেন এরপরও তিনি কিভাবে বিদেশে চলে গেলেন সেটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।এর আগে ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন জুলাই আগস্ট এর গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যেও শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইবুনাল।তদন্ত শেষ করে আজ প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল।
তাদের মধ্যেও আছেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আনিসুল হক,শাহরুখ খান,দীপু মণি,আব্দুর রাজ্জাক শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার গোলাম দস্তগীর গাজী আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলাম।আরও আছেন সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক -ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন,জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক,সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতারবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক,প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইবুনাল।
২৭ অক্টোবর আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।সে অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।