বিনা বিচারে সীমান্তে চোরাকারবারি সহ যেই বাংলাদেশী যেই হোক তাকে গুলি করে হত্যা করা নির্দয় অমানবিক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পস্ট লংঘন বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল গোলাম রব্বানি। তিনি বলেন গত ০৮ মার্চ আল আমিনকে সীমান্তে নিবৃত করতে প্রানঘাতি অস্ত্রের পরিবর্তে অপ্রানঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা যেত। তাকে পাকড়াও করা যেত আইনের আওতায় সোপর্দ করা যেত প্রয়োজনে বিজিবিকে জানালে বিজিবি তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন করতো। আমরা কোনভাবেই এই হত্যাকান্ডকে সমর্থন করতে পারিনা। আমরা এই বৈঠকে সীমান্তে হত্যাকান্ডের তিব্র প্রতিবাদ ক্ষোভ এবং নিন্দা জানিয়েছি। সেক্টর কমান্ডার বিএসএফ আমাদের জানিয়েছে সেদিন ১০ থেকে ১৫ জনের একটি চোরাকারবারী দল ভারতে প্রবেশ করেন। রাতের আধারে বিএসএফ জোয়ানদের আক্রমন করলে বিএসএফ আতœরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। কর্ণেল গোলাম রব্বানি বলেন বর্তমানে আমরা সীমান্তে জনবল এবং টহল বৃদ্ধি করেছি। সীমান্তে হত্যা শুন্যের কোঠায় আনতে বিজিবি আপ্রান চেস্টা করে যাচ্ছেন । তিনি সোমবার বিকেলে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে বিজিবি বিএসএফ’র সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে এসব কথা বলেন । এসময় বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম রব্বানী এবং প্রতিপক্ষ বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ’র শিলিগুড়ি সেক্টর কমান্ডার শ্রী পি কে শিং। উল্লেখ যে গত ০৮ মার্চ পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন (৩৬) নামে এক বাংলাদেশী নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে আজকে পতাকা বৈঠক করেছেন দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সেক্টর পর্যায়ের কমান্ডাররা।