বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা তো থামছেই না বরং তা আরো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উত্তেজনার মধ্যেই ঘটেছে একটি নতুন ঘটনা।দিনাজপুর সীমান্ত থেকে এক তরুণকে বিএসএফ ধরে নেওয়ার প্রতিবাদে ভারতীয় এক তরুণ কে তুলে নিয়ে এসেছে দিনাজপুরের গ্রামবাসীরা।বিগত কিছু দিন ধরেই বিছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি মধ্যে।এরই মধ্যে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক বাংলাদেশী তরুণকে মাঠে কাজ করার সময় মারধর করে ধরে নিয়ে যায়।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিনাজপুর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর বিউপি ক্যাম্পের নগর গ্রামের ৩২৩ পিলার সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।জানা গেছে ওই সময় আলামিন নামের তরুণ তার জমিতে কৃষি কাজ করছিলেন।তখন বিএসএফের ৬ তাকে মারধোর করে তোরে নিয়ে যায়।এদিকে এ খবর জানার পর স্থানীয় কিছু বাংলাদেশী নাগরিক ভারতীয় এক কৃষককে ধরে এনে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। ভারতীয় নাগরিকের নাম নারায়ন চন্দ্র রায়।তিনি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।এ ঘটনাটি জানার পর বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা পতাকা বৈঠকে বসে এবং দুপুরের পর পরই তরুণ ও ভারতের কৃষক কে যে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশি তরুণ মোহাম্মদ আল-আমিন এবং ভারতীয় কৃষক নারায়ণ চন্দ্র রায় কে বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।বিজিবি ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসানুল ইসলাম বলেন,৫ জন বাংলাদেশি বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারত থেকে বাংলাদেশের প্রবেশ করেছিল। বিএসএফ ধারণা করেছিল সীমান্তের আশেপাশে কেউ তাদের সহযোগিতা করেছে তখন আল-আমিনকে ভুলবশত ধরে নেওয়া হয়। পতাকা বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে এবং আল-আমিনকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।এছাড়া ভারতীয় নাগরিকদের নারায়ণ চন্দ্র দাসকে বিএসএফ এর কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।এই ঘটনাটি নিয়ে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে এবং দিনাজপুর সংলগ্ন সীমান্তে আপাতত স্বাভাবিক হয়েছে।