শিরোনাম

টিকাদান কার্যক্রম জোরদারকরণে টিকাদানকর্মী নিয়োগ


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত, ১৪ মে ২০২৫, সকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবন অডিটোরিয়ামে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায়” বিষয়ক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় সিইও এবং অতিরিক্ত সচিব জনাব আবু সাইদ মোঃ কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, জুন ২০২৫ থেকে আরবান প্রাইমারি হেল্‌থ কেয়ার প্রোগ্রাম বন্ধ হয়ে গেলে যেন টিকাদান বন্ধ না হয় সে দিকে নজর রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের নিয়োগ সম্পন্ন করতে সমর্থ হবো বলে আশা করছি। এরই প্রেক্ষাপটে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টিকাদান কার্যক্রম জোরদারকরণের টিকাদানকর্মী নিয়োগের সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করলেন।

গ্যাভী সিএসও’র চেয়ারম্যান এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডাঃ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, টিকাদান হচ্ছে জীবন বাঁচিয়ে রাখার ইনভেস্টমেন্ট। প্রতিবছর ৫০ লক্ষ্য মানুষের শরীরে রোগ হয়না ইপিআই টিকা গ্রহনের মাধ্যমে। ১ লক্ষ্য ১৫ হাজার কিশোরীর শরীরে ক্যানসার হয়না টিকা গ্রহনের কারনে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার শিশু এবং ৮ লক্ষ মাকে টিকা দান করে তবে এখানে এখনও বেশ কিছু জায়গায় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। যার মূল কারন টিকাদান কার্যক্রমের সাথে জড়িত জনবল সংকট। পর্যাপ্ত টিকার অভাবের পাশাপাশি অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণেও কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। যা অনেক শিশুকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সমস্যা সমাধানে দ্রুত নতুন পদ সৃষ্টি এবং সেখানে জনবল নিয়োগ এবং কার্যকর মনিটরিং এর মাধ্যমে টিকাদান প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে।

এছাড়া তিনি জুন ২০২৫ থেকে আরবান প্রাইমারি হেল্‌থ কেয়ার প্রোগ্রাম বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে টিকাদান প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হবে এ বিষয়ে মাননীয় সিইও মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আরও বলেন টিকাদানে স্বাস্থ্য কর্মীরা অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছেন তবে যদি তারা পূর্ণ সহায়তা পায় তাহলে তারা শতভাগ টিকাদান কাভারেজ অর্জন করতে সমর্থ হবে।

ডাঃ ফারহানা রহমান, হেলথ অফিসার, ইউনিসেফ, বাংলাদেশ, বলেন শহরে শিশুদের শতভাগ টিকাদান নিশ্চিত করা হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ। স্থানান্তরিত এবং কর্মজীবী মায়েদের শিশুরা মূলত শতভাগ টিকা পায় না এবং ড্রপ-আউট হয়ে পরে। এই জন্য সিটি কর্পোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে। সকল শিশুকে টিকাদানে প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় বাবস্থা গ্রহন করতে হবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পলিসি অ্যাডভাইজর এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, , ডাঃ রাজেন্দ্র বোহারা, টিম লিড, আইভিডি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডাঃ রিয়াদ মাহমুদ, হেল্‌থ ম্যানেজার, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাবৃন্দ, ইপিআই সুপারভাইজারগণ, প্রাইমারি হেলথ ওয়ার্কারবর্গ, ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ এবং দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে, ইপিআই এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় ইপিআই টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।

এই সভার মধ্যে দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় সবাইকে টিকার আওতায় আনতে একটি বিশেষ কার্যক্রম জোরদার করবে নগর কর্তৃপক্ষ তার দৃঢ় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।


0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments