জীতেন বড়–য়া,খাগড়াছড়িঃ খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষাথী ও টমটম চালকসহ ৬ জন অপহরনের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন। তবে তাদের দ্রæত উদ্ধারে জন্য জন্য কাজ করছেন বলে জানালে পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
জানাযায় গত বুধবার ১৬ এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী ও টমটম চালক অপহরণ হওয়া বিষয় জানানোর পর থেকে খাগড়াছড়ির সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথবাহিনীর একাধিক টিম তাদের উদ্ধার অভিযানে নামেন। কিন্ত অপহরনের ৭ দিন পরও তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যে এলাকা থেকে তাদের অপহরনের অভিযোগ করা হয়েছে সে এলাকার লোকজন ও জন প্রতিনিধিরা অপহরনের বিষয়টি অবগত নয় বলে জানান, তারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছেন। তবে এ বিষয়ে কোন খবর পেলে তারা তা প্রশাসনকে জানাবেন।
এনিয়ে পেরাছড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষান্তি লাল দেওয়ান বলেন অপহরনের বিষয়টি এলাকাবাসী ও তিনি নিজেই জানতেন না পরে জেনেছেন, তবে কোন এলাকা এলাকা থেকে অপহরণ হয়েছেন তা জানেন না।
৫নং ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজন চাকমা বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধমে জেনেছেন ৫ জন শিক্ষার্থী অপহরণ হয়েছেন, এনিয়ে তাকে কেউ অভিযোগ করেননি, শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছেন। আর যদি এ বিষয়ে কোন তথ্য পান তাহলে প্রশাসনকে জানাবেন। আর টমটম চালকের বিষয়ে শুনেছেন, তবে টমটম চালকের বাড়ী কোথায় কেউ জানে না। তবে তিনি নিজে থেকে খোজ খবর নিচ্ছেন।
আইনজীবী জসিম উদ্দিন মজুমদার বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপহরনের বিষয়টি শুধু পত্রিকা আর ফেইসবুকে দেখছি, বাস্তবতা কতটুকু তা আমরা কেউ কিছু জানিনা। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান দেখে মনে হয় হ্যাঁ এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। তবে যদি ঘটনা ঘটে থাকে তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা বাহিনী নিকট যাওয়া, আইনের আশ্রয় নেয়া উচিত, নিরাপত্তা বাহিনী নিকট গেলে একটা প্রতিকার পেতে পারেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি মনে করেন এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছেই প্রথমে যাওয়া উচিত।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত, যখন যেখানে তথ্য পাচ্ছেন সে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তবে এখনো বলার মতো সাফল্য নেই। উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তবে অভিযানের মাত্র বাড়ানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন আইনশৃংখলা মিটিং এ এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। সকল আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়ে এক যোগে কাজ করছেন। আশা করছেন দ্রæত তম সময়ের মধ্যে এ পরিস্থিতি থেকে আমরা উত্তরন পাবো।
এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চার সশস্ত্র সংঘঠনের চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা ভাগবাটোয়া নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর এ পর্যন্ত সহ-শতাধিক মানুষ খুন হয় এবং ১৫শ’ গুম হয়েছে।