মোঃশামীম হাসান সুজন,শরণখোলা প্রতিনিধিঃ স্বাক্ষর নকল করে জাল দলিল প্রস্তুত করে প্রতিবন্ধীসহ সর্বমোট তিনজনের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে শরণখোলা উপজেলার ১ নং ধানসাগর ইউনিয়নের নলবুনিয়া ওয়ার্ডের পহলান বাড়ির হেমায়েত উদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে হাফেজ মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের উপর। পহলান বাড়ির বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ধানসাগর নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বি.আর.এস ৪৫১ খতিয়ানের বি.আর.এস ৪১২ দাগের ৪৭ শতাংশ জমির মধ্যে ১৬.৫ শতক জমি পহলান বাড়ির মৃতঃ আব্দুস সত্তার খানের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ সোহাগের স্বাক্ষর জাল করে গত ০১/০৩/২০০০ সালে ভুয়া দলিল তৈরি করে জবরদখল করছে হাফেজ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এই অভিযোগ করছেন মৃতঃ আব্দুস সত্তার খানের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ সোহাগ সহ তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা। জমি বিক্রি ও স্বাক্ষর জালের ব্যাপারে মোঃ আব্দুল্লাহ সোহাগ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন হাফেজ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান তিনি এই ওয়ার্ডের বিএনপির সহ-সভাপতি তিনি বর্তমানে আমাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। হাফেজ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান আমার প্রতিবন্ধী ভাইসহ আমার মায়ের জমি জোর করে ভয় ভীতি দেখিয়ে আমার স্বাক্ষর নকল করে জাল দলিল প্রস্তুত করে অন্যায় ভাবে আমাদের জমি ভোগ দখল করছে । মৃতঃ আব্দুস সত্তার খানের সহ-ধর্মিনী কোহিনূর বেগম বলেন তিনি এবং তার ছেলে কোন জমি বিক্রি করেননি হাফেজ মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের কাছে । হাফেজ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ৩ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সহ-সভাপতি হওয়ায় আমাদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। মোঃ আব্দুল্লাহ সোহাগের স্বাক্ষর নকল ভুয়া দলিল ও বিএনপির সহ-সভাপতি পদের ভয় দেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে হাফেজ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন ০১/০৩/২০০০ সালে ১৬.৫ শতক জমি মৃতঃ আব্দুস সত্তার খানের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ সোহাগ আমার কাছে বিক্রি করেন। মোঃ আব্দুল্লাহ সোহাগের স্বাক্ষর নকল জাল দলিল ও বিএনপির সহ-সভাপতি পদে থেকে ভয় ভীতি দেখানোর কথা অস্বীকার করেন। স্বাক্ষর নকল জাল দলিলের বিষয় সহ বিজ্ঞ আদালতে তিনটি মামলা করেন মৃতঃ আব্দুস সত্তার খানের স্ত্রীর সন্তানেরা। বিজ্ঞ আদালতে বর্তমানে মামলা চলছে। মামলা চলাকালীন সময়ের মধ্যে হাফেজ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এই জমিতে বিল্ডিং এর কাজ শুরু করেছেন। যেহেতু আদালতে এই জমি নিয়ে মামলা চলছে তাই মৃতঃ আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা আদালতে মামলা চলাকালীন এবং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন অবকাঠামোর কাজ যাতে না হয় এই মর্মে আদালতে আবেদন করলে উভয়পক্ষকে কোন ধরনের অবকাঠামোর কাজ না হয় তার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। শরণখোলা থানার এএসআই আবু সাইদ জমিতে গিয়ে বিজ্ঞ আদালতের জারি করা ১৪৪ ধারাটি শুনিয়ে হাফেজ মোঃ সিদ্দিকী রহমানের কাজ বন্ধ করে দেন। ১৪৪ ধারা সম্পর্কে শরণখোলা থানার এএসআই আবু সাইদ বলেন বিজ্ঞ আদালত এই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এর প্রেক্ষিতে এই জমিতে উভয় পক্ষের কেউই পরবর্তী বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারবে না।