মোঃশামীম হাসান সুজন শরণখোলা উপজেলা প্রতিনিধিঃ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন দেশের নারী সমাজ। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে পুরুষের পাশাপাশি বিশেষ অবদান রাখছে দেশের নারীরা। প্রাণপণ চেষ্টা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নারীরা তাদের জীবনে সফলতা বয়ে আনছে। নারী বলতে এখন পিছিয়ে পড়া নয়। সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতা পিছনে ফেলে যারা সফল হয়েছে তারাই তো অদম্য নারী।
শরণখোলা উপজেলায় দৃঢ় মনোবল অদম্য সাহস সততা আর আপন কর্মকে সঙ্গী করে জীবন যুদ্ধে কঠিন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দুই নারী আপন আলোয় আলোকিত।
‘সমাজ উন্নয়নে সাগর আক্তারের অসামান্য অবদান ‘ সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে বলেশ্বর নদীর সংলগ্ন ৩ নং রায়েন্দা ইউনিয়নের ৪ নং খাঁদা ওয়ার্ডের সম্ভ্রান্ত তালুকদার বংশে জন্মগ্রহণ করেন মিসেস সাগর আক্তার। কিশোরি বয়সে তখনকার প্রেক্ষাপটে নারীদের শিক্ষা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ সামাজিক অবস্থা উন্নয়নে আগ্রহ সহকারে কাজ করেন। সাগর আক্তার ২০০২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ নং রায়েন্দা ইউনিয়নের ৪/৫/৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালের শরণখোলা স্মরণকালের ঘূর্ণিঝড় সিডর হলে অসহায় মানুষ ও দুস্থ মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করেন। ঘরমুখী ছেলেমেয়েদের পিতা মাতাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে তাদেরকে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ান।
বিভিন্ন সামাজিক পরিবেশে নারী সমাজের জন্য শিক্ষা বাল্যবিবাহ যৌতুক নারী নির্যাতন বন্ধের বিষয় স্কুল মাদ্রাসায় বাড়ীতে উঠান বৈঠকের এবং বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে নারীদের ঋণ প্রদানের সহযোগিতা করে তাদেরকে স্বাবলম্বী করার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে তিনি শরণখোলা উপজেলা বিএনপির মহিলা দলের সভাপতি। মিসেস সাগর আক্তারের দুই ছেলে। তার বড় ছেলে একজন ব্যবসায়ী ও ছোট ছেলে শিক্ষক ও সাংবাদিক। ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী সীমা রানী ‘ সীমা রানী নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তার পরিবারে তিনি সহ দুই বোন সাথে বাবা-মা রয়েছে । বাবা মা চেয়েছিল সীমা রানী লেখাপড়া করে বড় হবে কিন্তু তা আর হলো না। এসএসসি পাস করার পর তাকেই বিয়ে দিয়ে দেয়। স্বামীর ভালো কোন আয়-রোজগার ছিল না। সংসারে ছিল অভাব অনটন। তখন সীমা রানী চিন্তা করেন কিভাবে আত্মকর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। তখন সীমা রানী স্বামীকে সাথে নিয়ে শাড়ি বিক্রি শুরু করেন। তার স্বামী বাজার থেকে শাড়ি কিনে এনে দেয় আর সীমা রানী বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই শাড়ি বিক্রি করেন। সেই লাভের টাকা দিয়ে সীমারানী মেয়ে ও ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগিয়ে সংসার চালায়। সীমা রানী এখন স্বচ্ছল গৃহিণী। বহু ঘাত প্রতিঘাত পার হয়ে জীবন যুদ্ধে সে একজন সাহসী নারী সৈনিক। বর্তমানে সীমা রানীর ছেলে আমড়াগাছি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে নিয়ে দশম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে। বর্তমানে সীমা রানী পারিবারিক জীবনী ভালোই আছে।