শিরোনাম

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিমের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন


মোঃ শামীম হাসান সুজন,শরণখোলা প্রতিনিধিঃ পূর্ব সুন্দর বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সোয়েবুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা।

৫ মার্চ সকালে শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে মৎস্য ব্যবসায়ী উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি যথা নিয়মে পাস করে তার জেলে বহর নিয়া কটকা এলাকার অভয়াশ্রমের বাইরে মাছ ধরতে গেলে সেখানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সোয়েবুর রহমান সুমন তাদের জানায় এলাকায় মাছ ধরতে হলে গোণপতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা তাকে উৎকোচ দিতে হবে অন্যথায় মাছ ধরা যাবে না এবং কিন্তু যারা টাকা দেয় কটকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার অনুমতিও দেয়।

এর বিনিময়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে শফিকুলকে জানায়। শফিকুল ইসলাম বিকাশের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা উৎকোচ দেয়। সে সেই চুক্তিতে কটকা বিভিন্ন এলাকায় মাছ ধরতে থাকে তার জেলেরা। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

এ নিয়ে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাগ বিতদন্ডতা হয়। পরে টাকা না পেয়ে সোয়েবুর রহমান ও তার বনরক্ষীরা শফিকুল ইসলামের জেলেদের দুটি নৌকা ভেঙ্গে ফেলে এবং তাদের একটি জাল রেখে দেয়।

এতে ওই জেলেদের কমপক্ষে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন সোয়েবুর রহমান ওই এলাকায় বিনা পাশে উৎকোচ নিয়ে পদ্মা স্লুুলিজ এলাকার জেলেদের দিয়া মাছ ধরিয়া থাকেন।

তিনি টাকা ছাড়া কিছুই চেনেন না টাকা দিতে পারলে কটকার যে কোন জায়গায় মাছ ধরার অনুমতি দেন সোয়েবুর রহমান।

উপস্থিত জেলেরা সোয়েবুর রহমানকে অত্যন্ত বদমেজাজি একজন কর্মকর্তা বলে অভিহিত করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কটকা টহলফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান বিষয়টি এড়িয়ে বলেন কটকা অভয়ারণ্যের ভিতরে কোনো মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। আর তিনি শফিকুল ইসলাম এর কাজ থেকে কোন টাকা নেননি বলে জানান। নৌকা ভাঙ্গার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

এভাবে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব বলেন, কটকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছেন।

এবিষয়ে তদন্ত চলছে তদন্তের দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য উৎকোচ নিয়ে জেলেদের মাছ ধরতে দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।


0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments