ঢাকা দক্ষিণ প্রতিবেদকঃ ঢাকা জেলা পুলিশের চৌকস টিমের অভিযানে ডাকাতির ঘটনার ৬দিনের মধ্যে জড়িত ৫ আসামী গ্রেফতার।
এ ঘটনায় ফেসবুকসহ বিভিন্ন মহলে প্রশংসায় ভাসছেন ঢাকা জেলা পুলিশের সদস্যরা। জানা যায়, ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন এলাকায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিলাশপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের মোঃ হানিফ শেখ (৩৩) এর বসত বাড়ীতে অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন সশস্ত্র ডাকাত শটগান, পিস্তল, চাকু, সাবল, রাম দা, দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিল্ডিংয়ের নীচ তলার পূর্ব পাশের রুমে কাঠের তৈরী মেইন দরজা ও রুমের দরজা সাবল দিয়ে ভেঙ্গে রুমের ভিতর প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ও মারধর করে তার মায়ের কক্ষে থাকা খাটের তোষকের নিচে থেকে ৩ জোড়া কানের স্বর্ণের দুল, ওজন ২ ভরি, ৩টি স্বর্ণের চেইন, ওজন-২.৫ ভরি, একজোড়া স্বর্ণের রুলি, ওজন-২ ভরি, সর্বমোট ৬.৫ ভরি যাহার সর্বমোট মূল্য অনুমান-৭,৮০,০০০/-(সাত লক্ষ আশি হাজার) টাকা লুট করে এবং ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয় জনতা ডাকাত দলকে ধাওয়া করলে ডাকাত দল জনতার দিকে শটগানের গুলি করে ৭-৮ জন জনতাকে আহত করে পালিয়ে যায়। এ সময় একজন মাঝিকে উপস্থিত জনতা ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি দিয়েও আহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় হানিফ শেখ বাদি হয়ে দোহার থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ডাকাতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তপূর্বক মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের জন্য নির্দেশ দেন। সহকারী পুলিশ সুপার মো: আশরাফুল আলম এর তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ মো: রেজাউল করিমের নেতৃত্বে দোহার থানার একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার একটি অভিযান পরিচালনা করে।
এ বিষয় সহকারী পুলিশ সুপার মো: আশরাফুল আলম বলেন, অত্র ডাকাতির সাথে জড়িত ৫ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয় ও তাদের নিকট ডাকাতির সময় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র(১টি রামদা, ১টি চাপাতি, ১টি ছোরা)
ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিকভাবে অত্র ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো ১। রাকিব চোকদার (২৩), ২। বাচ্চু মিয়া (৩৪), ৩। হালিম বেপারী (৪৫) ৪। লিটন বেপারী (৪৫) ৫। নাজির (৩৫)। আজ বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। দুই ডাকাত বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞ আদালত অপর ৩ আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।অত্র ঘটনার সাথে জড়িত অপরাপর আসামীদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।