খাগড়াছড়ি প্রতিনিধঃ খাগড়াছড়িতে পবিত্র মাহে রমজানের আগে সাপ্তাহিক ২ দিনের বন্ধে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গুলোতে ঘটছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় । প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে সারাদেশ থেকে আগত পর্যটকেরা এসে জেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় করছেন।পাহাড়ি কন্যা খাগড়াছড়িতে পর্যটকের এ আগমন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিটি পর্যটন স্পর্ট পর্যটকদের উপচে পড়া ভীর। জায়গা নেই হোটেল-মোটেলে। এতে দীর্ঘ দিনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠছেন ব্যবসায়ীরা। খুশি পর্যটক নির্ভর পরিবহণ ও হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায প্রতিদিন ভোর হলে খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বর হাজারো পর্যটকের পদভারে মুখর হয়ে উঠে। তারপর চলে যান গন্তব্যে। পর্যটকদের মতে, ভারতে চেয়ে বাংলাদেশের পাহাড়ে পর্যটন স্পর্টগুলো অনেক আকর্ষনীয়। পাহাড়, অরণ্য, ঝিরি, ঝরনা ও উপত্যকা নিয়ে প্রাকৃতিক সৈন্দর্য ভরা পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। এই শীতের শেষান্তে খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের সমাগম বাড়ছে। এই সময়ে পাহাড়ের আবহাওয়া ভ্রমণ উপযোগী হওয়ায় দল বেধে ঘুরতে আসছে পর্যটকরা । আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ,ঝুলন্ত ব্রীজ,তারেং,রিছাং ঝরণাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখতে পর্যটকে মুখরিত পর্যটন কেন্দ্র গুলো। পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা। তা ছাড়া অনেকেই পবিত্র রমজানের আগে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসছে। এখানে আসলে একসাথে অনেকগুলো পর্যটনকেন্দ্র দেখা যায়। যা অন্য কোনো জায়গায় পাওয়া যায় না।
অপর দিকে গাড়ী চালক ও রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা জানান বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় খাগড়াছড়িতে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। তবে হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরাও খুশি।
খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি স্বপন দেবনাথ জানান এভাবে পর্যটকের ঢল অব্যাহত থাকলে তারা অতীতের সকল ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল বলেন পর্যটকদের নিরাপত্তায় খাগড়াছড়ির প্রতিটি পর্যটন স্পর্টে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কাজ করছে পুলিশ।আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণে আসা অধিকাংশ পর্যটক মূলত সাজেক কেন্দ্রিক।ছুটির দিনগুলোতে কয়েকশ গাড়ি সাজেক যাতায়াত করছে।সাজেক আসা যাওয়ার ফাঁকে খাগড়াছড়ি স্পটগুলো ঘুরে যান পর্যটকরা।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, খাগড়াছড়ির আকর্ষনীয় পর্যটন স্পর্টগুলোতে পর্যটকদের যাতায়াতে সহজ করার জন্য জেলা প্রশাসন বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। জেলা প্রশাসক আরো জানান পর্যটন মৌসুমে এমনিতে খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পর্টগুলোতে পর্যটকের সমাগম ঘটে। তবে চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের আগমন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র,আলুটিলা গুহা,জেলা পরিষদ পার্ক ও রিছাসহ সকল পর্যটন কেন্দ্র এখন পর্যটকে থাসা। রুপের রানী খ্যাত খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পর্টগুলো দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল সুত্রে জানান যায়, রমজানের আগে সাপ্তাহিক ২ দিনের বন্ধে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে প্রায় ৩০ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে । এ ধারা অব্যাহত থাকলে খাগড়াছড়ি হবে ভ্রমন পিপাসুদের বেড়ানোর উত্তম স্থান।