নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সুবর্নচরে সাবেক এমপি ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ এজহার নামীয় ৮২জনসহ অজ্ঞাত ২-৩শ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক বিএনপি নেতা। রবিবার ( ১৬ই ফেব্রুয়ারী ) এ মামলা হয় বলে চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যতা নিশ্চিত করেন। মামলা প্রধান আসামী করা হয়েছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে।২নং আসামী করা হয়েছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম খায়রুল আনম সেলিমকে। এছাড়াও মামলায় অন্যানের মধ্যে যথাক্রমে রয়েছে চর বাটা ইউপির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব, মোস্তফা কামাল কাজল, মোস্তফা পারভেজ (সভাপতি, ২নং চরবাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ), হানিফ চৌধুরী (সাধারন সম্পাদক, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগ),আলা উদ্দিন, (সাধারন সম্পাদক, চরবাটা ‘ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ) তরিকুল ইসলাম (সাবেক চেয়ারম্যান, চর জব্বার ইউপি), নুর ইসলাম মানিক মেম্বার, উৎপল চন্দ্র মজুমদার, সামছুদ্দিন বাবুল (সাধারন সম্পাদক, ৪নং চর ওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ), বেলায়েত হোসেন, (সাবেক চেয়ারম্যান, চর আমান উল্যা ‘ইউপি), আবদুল্লাহ আল মামুন জাবেদ (আহবায়ক, সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগ), রিয়াজ , ছিদ্দিক মেম্বার, আক্তার মেম্বার, কেফায়েত উল্যা, সিরাজুল ইসলাম, বদিউল আলম (আহবায়ক, চরজব্বার ইউনিয়ন যুবলীগ), মোঃ শাহআহান (সাধারন সম্পাদক, চরজব্বর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ), আবদুল মান্নান ভূইয়া (সাংগঠানক সম্পাদক, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামালীগ ও চেয়ারম্যান চর ওয়াপদা ইউপি), হাসান, মোঃ মামুন, জুয়েল, মহিব উল্যা, আবুল কালাম, আবদুর রহমান বাবলু, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ নুর , মোঃ আজগর, ফাসেল আকাশ, সাইফুল্যাহ খসরু (যুগ আহবায়ক, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, চেয়ারম্যান, ৫নং চর জুবলী ইউপি), ফজলু, ফিরোজ আলম, আখেরী মাসুদ, মহি রাশেদ, পিতাঃ মফিজুল ইসলাম, মোঃ হানিফ, পিতা, ফয়সাল, মোঃ বেলাল, মোঃ বাবুল, কামাল হোসেন, জাকের হোসেন, মোঃ মোক্তার, পলাশ, আসিক, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মোঃ জাকের, আবদুল মান্নান, মহি উদ্দিন।
ইব্রাহিম ,হানিফ , ইসমাইল , হুমায়ুন , দুর মোহাম্মদ মাঝি, আমাল উদ্দিন , সাইফুল ইসলাম রুবেল, মোঃ মামুন, নুরুল আমিন প্রকাশ চুঙ্গা নুরুল আমিন, সভাপতি, ওলামালীগ সুবর্ণচর উপজেলা, মোঃ মোতাহের, সভাপতি, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, মোঃ সুমন, মোঃ সোহাগ, আজাদ , আলা উদ্দিন, অন্তর, জুয়েল, হাছান, রফিক উল্যা বাদশা, জাকের-১, জাকের-২ , রফিকুল ইসলাম ভূইয়া, মোঃ জাকের-৩ , আবদুল মন্নান, মহি উদ্দিন , জামশেদ প্রঃ জামশেদ ডাক্তার, মোঃ জাকের, পিতা: মৃত নুরুল আমিন, আবদুল মন্নান, মহি উদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান, মোঃ আজাদ, আনছার আলীসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জন সন্ত্রাসীর কথা জানিয়েছে মামলার বাদি।
এসময় মামলার বাদি সুবর্ণচর উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক রাশেদ ইকবাল বলেন, গত ২২শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাহাদের দলের মনোনিত প্রার্থী মামলার ১ম আসামীকে অবৈধ ভাবে বিজয় করার লক্ষ্যে সদর সুবর্ণচরে এক তাসের রাজত্ব কায়েম করে সন্ত্রাসী আওয়ামী বাহীনী। ঘটনার দিন তারা নোয়াখালী ৪ আসনের বি.এন.পি এর মনোনিত ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী আলহাল মোঃ শাহজাহান এর নির্বাচনী প্রচার প্রতারনা শেষে নেতা কর্মীরা মামলার ঘটনার স্থল এডভোকেট এ.বি.এম জাকারিয়া সাহেবের বসত বাড়ীতে দুপুরের খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা অবস্থায় এজাহার নামীয় আসামী ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা একরাম এমপির নির্দেশে নেতৃত্বে ককটেল বিস্ফোরন ঘটাইয়া এলোপাতাড়ী গুলি ছুটতে ছুটতে-হাতে অস্ত্র, রামদা, হকষ্টিক, দা, চেনী ইত্যাদি নিয়া এডভোকেট এ.বি.এম জাকারিয়া সাহেবের বাড়ীতে আক্রমন করে বি.এন.পি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীকে দাওয়া-গিতে থাকে। আসামীদের এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষন করে বাড়ীর ভিতরে থাকা নেতা কর্মীদের প্রায় চার শতাধিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটর সাইকেল চুরি করিয়া লুটপাট করে নিয়ে যায়।