৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর তাদের মধ্যে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসেই একের পর এক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। একদিনের ব্যবধানে তিনি দুই লাইভে যুক্ত হয়ে ছাত্র সমাজ ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। এতে তাকে ঘীরে জনমনে তৈরি হয় আগুনে ঘী ডেলেছেন তিনি নিজেই তার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে হাসিনা দিল্লিতে বসে কিভাবে লাইভে যুক্ত হয়েছে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এর মধ্যেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঘটনায় মুখ খুলেছেন ভারত। গনঅভ্যুত্থানের ৬মাস উপলক্ষে দেশের ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা জানায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এরপরই শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। শেখ হাসিনা ভাষণ দিলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তবুও থেমে থাকেননি শেখ হাসিনা ঠিকি বুধবার রাতে লাইভে যুক্ত হয়ে ভাষণ দেন। যদিও তার আগেই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ধানমন্ডি ৩২ শে জড় হন এবং গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালাতে থাকেন। এক পর্যায়ে অগ্নিসংযোগ করে ও বুলডোজার এবং এসকে ভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় শেখ মুজিবের বাড়ি। যা ফলাও করে প্রচার করে বিশ্বমিডিয়ার। এদিকে গুম খুন আর গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালায় তার জন্য দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।
চলতি সপ্তাহেই তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন শেখ হাসিনা ভারতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে সেই দায়ভার ভারত সরকারকেই নিতে হবে।পরেও হাসিনা আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ কোন ইউটিউব থেকে ভাষণ দিয়েছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে বসে শেখ হাসিনা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কবে থেকে বৃহস্পতিবার তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এবিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেন হাইকমিশনার এখন নেই তাই ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ভারতের জানিয়েছে শেখ হাসিনা বিদেশি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ভারতের কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন না।অন্য দিকে এবার ধানমন্ডি 32 নম্বর এর ঘটনা বিবৃতি দিয়েছে ভারত দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সোয়াল বলেছেন দখলদারিত্ব ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতিকারের ঐতিহাসিক বাসভবন থেকে ফেলা হয়েছে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও রনধী জয় সওয়ারের এক্স একাউন্টে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয় যারা বাঙালির পরিচয় নিয়ে গর্ব করেন এবং এই পরিচয় লালন করার পাশাপাশি স্বাধীনতার সংগ্রামকে মূল্য দেন। তারা সকলেই বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার ক্ষেত্রেই বাসভবনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত। ভারত এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানায়।