বি.চৌধুরী তুহিন নোয়াখালী প্রতিনিধিঃনোয়াখালীতে মানববন্ধনে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুরের চেষ্টা করছেন কয়েকজন যুবক।মানববন্ধনে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুরের চেষ্টা করছেন কয়েকজন যুবক।
ঠিকাদারি কাজে বাধা দেওয়া এবং হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে আয়োজন করা হয় মানববন্ধন।সেই মানববন্ধনে অতর্কিতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় ২০-২৫ জনের একটি দল।মানববন্ধনে ব্যবহৃত মাইক ছাড়াও ভাঙচুর করা হয় সড়কে চলাচলকারী একটি মাইক্রোবাস।উপস্থিত সাংবাদিকদের দিকে ছোড়া হয় ইটপাটকেল। ২২ জানুয়ারি বুধবার বেলা একটার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহর মাইজদীর কাজী কলোনি এলাকায় নোয়াখালী হাউজিং এস্টেট প্রকল্প-৩ এর মাটি ভরাটের কাজ চলছে। সেখানে উপ ঠিকাদার হিসেবে মাটি ভরাটের কাজটি করছেন আবদুল করিম নামের এক ব্যক্তি।তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একদল যুবক মাটি ভরাটের কাজে বাধা দেন। হামলা চালিয়ে তিন শ্রমিককে আহত করা হয়। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয় মাটি ভরাট কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি যানবাহন।
হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ২২ জানুয়ারি দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল। বেলা একটার দিকে কর্মসূচিতে ২০-২৫ জন যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। কর্মসূচিতে ব্যবহৃত মাইক ভেঙে ফেলেন তাঁরা। সড়কে চলাচলকারী একটি মাইক্রোবাসও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া কর্তব্যরত সাংবাদিকদের দিকে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। ইটের আঘাতে দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আহত সাংবাদিকেরা হলেন দেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধি মাওলা সুজন ও এখন টেলিভিশনের প্রতিনিধি এস এম নাসিম। মানববন্ধনে হামলার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তবে এর আগেই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ভাঙচুর হওয়া মাইক্রোবাস ব্যাপারে
জানতে চাইলে সাবেক ছাত্রদল নেতা আবদুল করিম ওরফে মুক্তা বলেন, মাটি ভরাটের ওই কাজের ঠিকাদারি পেয়েছিল রুপালি ট্রেডার্স। ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তিনি কাজটি যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে নিয়েছেন। গতকাল সেখানে মাটি ভরাটের কাজ করার সময় চারজন শ্রমিককে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি পিকআপ ভ্যানও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলাকারীরা পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাসেরের অনুসারী। তিনি আরও বলেন, হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা মানববন্ধনে পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাসেরের লোকজন হামলা চালিয়েছেন। হামলায় কর্মসূচিতে থাকা বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে নোয়াখালী পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের বাংলাদেশের পত্রিকা কে বলেন, কারা মাটি ভরাটের কাজ পেয়েছে কিংবা মানববন্ধনে কারা হামলা চালিয়েছে, তিনি সে বিষয়ে কিছুই জানেন না। ঘটনার পর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকেই তিনি ফোনে বিষয়টি জেনেছেন। তাঁর কোনো লোক এই হামলার ঘটনায় জড়িত নন। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বাংলাদেশের পত্রিকা কে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা চলে গেছেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।