শিরোনাম

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর নতুন নাটক ইসরায়েলর


দেড় বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের অবসানের খবরে আশার সঞ্চার হয়েছিল বিশ্বজুড়ে।কিন্তু এরই মধ্যে আবারও তালবাহানা শুরু করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।তবে কি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে নতুন কোন নাটক সাজাতে ইজরাইল।ইসরায়েল নির্মম হত্যাকাণ্ডে যখন পুরো বিশ্ব উদ্বিগ্ন তখন কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসে। কিন্তু এই ঘোষণার পরও গাজায় ইসরাইলি বাহিনী ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। এই হামলার পরপরই ইসরাইলের পক্ষ থেকে খবর আসে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন,হামাসের চুক্তিতে শেষ মুহূর্তে কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা এবং নতুন কিছু দাবির কারণে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার ভোটাভুটি বিলম্বিত করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে ইসরাইলের মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি এখন পিছিয়ে গেছে নেতানিয়াহু দাবি করেছেন। হামাস চুক্তি শর্তের প্রতি পূর্ণ সম্মতি না দেওয়ায় বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন।চুক্তির কিছু অমীমাংসিত বিষয় বর্তমানে সমাধান করা হচ্ছে এবং তিনি আত্মবিশ্বাসী যে রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন দীর্ঘ আলোচনার পর চুক্তির শর্তে কিছু সমঝোতায় এসেছে এবং শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি অনুমোদন করার জন্য আলোচনা হতে পারে।তবে চুক্তি অনুমোদন হলে সরকার থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের ডানপন্থী দল জিউস পাওয়ারে নেতা ইতামারডান গাম্ভির তার দাবি এটি যুদ্ধের অর্জনগুলোকে মুছে ফেলবে।অন্যদিকে হামাস তাদের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত  করেছে এবং তারা কাতার ওমিশরকে শর্তসমূহ জানিয়ে দিয়েছে।হামাস দাবি করেছে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে তারা কিছু বন্দিকে মুক্তি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি কারাগার থেকে সৃষ্টি নিবন্ধের বিনিময় ৩৩ জন নাগরিক মুক্তি পাবে।এ সময় ইসরাইলি সেনারা গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফোন করবে।তাছাড়া ত্রাণ সহায়তা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে এবং চুক্তির প্রথম পর্যায়ে সম্পাদন হবে ছয় সপ্তাহ মেয়াদ এ চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬ তম দিনে শুরু হবে। যেখানে জিম্মি মুক্তির প্রিয় ত্রিশালের পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী শান্তি প্রচেষ্টা শুরু হবে। তৃতীয় পর্যায়ের কয়েক বছর সময় লাগবে যাতে অবশিষ্ট জিম্মিদের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা এবং গাজায় পুনঃগঠনের বিষয় জড়িত। হামাসের প্রধান আলোচক সম্পর্কে একটি বিবৃতিতে বলেছেন। গাজায় ইসরাইলি হামলায় যে ক্ষতি হয়েছে। তার জন্য তারা ক্ষমা করবেন না। তিনি দাবি করেছেন ইজরায়েল গাজায় তাদের সামরিক অভিযানের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাঁজার ব্যবসা শুরু করে যার ফলে বর্তমানে ৪৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৩০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে এর মধ্যে গাজার অভ্যন্তরে মানবিক সংকট গভীর হচ্ছে। খাদ্য জ্বালানি ওষুধ ও আশ্রয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া ইসরাইলের দাবি হামাসের হাতে এখনও তাদের ৯৪ জন নাগরিক জিম্মি আছেন এর মধ্যে ৭ জন এখনো জীবিত এবং ৩৪ জন মৃত বলে ধারণা।এখন দেখার বিষয় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরাইলের মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায় কিনা এবং শান্তির পথে চুক্তি কতটুকু কার্যকরী হয়।


0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments