শিরোনাম

ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা


তীব্র আন্দোলনের মূখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।তখন থেকেই দেশটিতে অবস্থান করছেন তিনি।এরই মধ্যে হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তবর্তীনকালীন সেই সাথে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে অন্তবর্তী সরকার।তবুও তাকে ফেরত না দিয়ে বরং ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে মোদী সরকার।তাই প্রশ্ন উঠছে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা।এনিয়ে কি বলছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে তোড়জোড় শুরু করেছে ঢাকা।দেশের বিভিন্ন আদালতে দুই শতাধিক হত্যা মামলা হাসিনার বিরুদ্ধে।এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।ভারত থেকে তাকে ফেরাতে চিঠিও দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ভারত।এদিকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ৮ জানুয়ারি শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণা দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।এই ঘোষণার পরেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর তথ্য দেয় ভারতের গণমাধ্যম।যদিও  ভারতীয় ভিসার নিয়ম অনুযায়ী কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই ৪৫ দিন থাকা যায় সে দেশে।কিন্তু যেখানে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে সেখানে ভারত কিভাবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে,তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।৯ জানুয়ারি দোহারের একটি অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন,পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পরও শেখ হাসিনার কিভাবে ভারতে অবস্থান করছেন। তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করার কথাও বলেন তিনি। এদিকে পাসপোর্ট বাতিলের পর ও শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের কারণে প্রশ্ন উঠেছে তার নাগরিকত্ব নিয়ে। তবে কি ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি।এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন,শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেই। একই সাথে তার স্ট্যাটাস সম্পর্কে প্রশ্ন এসে ছিল।তিনি কোন স্ট্যাটাস ভারতে আছে এটা আসলে ভারত সরকারের বিবেচনাধীন  ১৬ জানুয়ারি সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র জানান,ভারতের সংগীত প্রযুক্তি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে হয়েছে।কোন মন্ত্রনালয় ও সংস্থা পর্যালোচনা অনুভব করলে তারা তা করতে পারে।বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়ে থাকে এই স্বাক্ষর করা সমঝোতা স্মারক যুক্তিগুলো যদি পর্যালোচনা প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অনুভব করে তবে তারা এ বিষয়টি উত্থাপন করতে পারে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments