শিরোনাম

১২ বছর পর কারামুক্ত রফিকুল আমিন


কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সন্ধ্যায় মুক্তি পান তিনি।এসময় তাকে দেখতে কারাগার প্রাঙ্গণে ভিড় করে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের হাজার হাজার বিনিয়োগকারী।কারাফটকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় তারা।
ছাদ খোলা গাড়িতে হাত নেড়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।এ সময় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সবাইকে নিয়ে নতুন করে পথচলা শুরু হবে।আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ১২ বছর অপেক্ষা করার জন্য আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ ইনশাল্লাহ আগামী কাল থেকে আবার কার্যক্রম শুরু হবে।সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকল ডিস্টিবিউশনের কাছে।এর আগে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলার রায় ১৯ জন আসামিকে ১২ বছর করে সাজা দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।রায় উপলক্ষে আদালত প্রাঙ্গণে সকাল থেকে ডেসটিনি গ্রুপের বিনিয়োগকারীরা জড়ো হন সকাল সাড়ে আটটার দিকে মামলায় অভিযুক্ত ডেসস্টিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন এবং চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন সহ অন্য আসামিদের আদালত প্রাঙ্গণে হয়। সাড়ে ১১ টার দিকে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন মামলার রায় পড়ে শোনান ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম। সাজার অধিক কারাবাস করায় রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনকে কারামুক্ত করার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পলাতক রয়েছে তাদের আটকের পর থেকে রায় কার্যকর হবে।এহসানুল হক সামাজী আসামি পক্ষ আইনজীবী বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধি ৩৫-এর এ ধারার বিধান অনুযায়ী যতদিন তারা কারাগারে ছিলেন সেই টাকা সেই মেযাদটি সাজার মেয়াদ এর সাথে কর্তীত হবে এবং কর্তিত হওয়ার প্রেক্ষিতে আর কোনো সাজা হয় না থাকায়।তিনি অবিলম্বে কারা কর্তৃপক্ষকে জনাব মোহাম্মদ রফিকুল আমীন এবং জনাব মোঃ হোসেন কে মুক্তি দানের ব্যাপারে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। অর্থদণ্ড করা হয় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। যা ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশও দেন আদালত।আইনজীবী জানান এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা আহমদ রফিকুল আমিন মোহাম্মদ হোসাইন মুক্তিলাভের পরবর্তীতে তাদের সাথে আলোচনা করে কপি কালেক্ট করে সেটাকে স্টাডি করে এরপরে বিধিবদ্ধ সময়ের মধ্যে মহামান্য উচ্চ আদালতে আপিল ফাইল করা। অনেকটা হতাশা নিয়ে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের বিনিয়োগকারীরা আদালত প্রাঙ্গণে আসেন মামলার রায় রফিকুল আমীনের মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই এমন খবরে আনন্দিত বিনিয়োগকারীরা।সাধারণ সদস্য, বলেন,আমার ডেসটিনি ডিস্ট্রিবিউটর আমাদের প্রত্যাশা ছিল আমরা সেটা আজকে পেয়েছি। ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন নামে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দু হাজার ২০১২ সালে ৩১ শে জুলাই মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করে দুদক এ মামলার দীর্ঘ শুনানিতে আদালত ১৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments