মো.জসিম উদ্দিনঃ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে পরমাণু বোমা ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র-জাপানে ২ বোমার আঘাতে ধ্বংসপ্রায় যায় দুটি শহর।ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল এর এই দৃশ্য এখন সেরকম এক অবস্থান তুলে ধরেছে। বাসিন্দারাও বলছেন ছয়দিনের দাবানলে পোড়ার লস এঞ্জেলেসে দেখলে মনে হবে শহরটি মনে হয় যেনো কেউ পরমাণু বোমা ছুড়েছে।যার ঘাতের রাতারাতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।সব ঘরবাড়ি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মতোই ক্যালিফোর্নিয়ার লাখো মানুষ এখন ঘর ছাড়া।
তেরান আশায় কাড়াকাড়ি চলছে,মানুষের মধ্যে বলা হয় বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কেউই কখনো জয় পাবে না সমরাস্ত্র নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করেছে।যে চাইলেই যে কোনো সময় যে কোনো অজুহাতে দেশে দেশে যুদ্ধ বাঁধীয়ে দেয়।দেশটির ইরাক,আফগানিস্তান সিরিয়ার মত মুসলিম দেশ ও রাষ্ট্রের অস্ত্রের আঘাতের পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।ফিলিস্তিন,লেবাননে নিরীহ মানুষদের প্রত্যয় পাঠাচ্ছে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র।যুক্তরাষ্ট্রের কারণে এসব দেশের লাখো কোটি মানুষ শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।সহিংসতা সংঘাতের ছুটে বেড়ান তারা সামান্য খাবারের জন্য মৃত্যু হয় অসংখ্য শিশুদের অসিম শক্তির অধিকারী এই দেশটিকে।এবার ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতির দাবানলে।আঘাত হেনেছে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আর বিলাসবহুল হিসেবে পরিচিত শহরটিতে।শক্তিশালী এই দেশ বা দেশের নেতাদের হুঁশিয়ারি।দাবানলের আগুন ঠেকাতে কাজে আসছে না সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।আর লাখ লাখ ডলার ব্যয় করেও আগুনের রোস শান্ত করতে পারছেননা দমকলকর্মীরা।
দাবানলে ক্যালিফোর্নিয়ার প্যানিন্সে পড়েছে প্রায় ২৪ হাজার একর জমি কিভাবে ছাই হয়ে গেছে আরও ১৪ হাজার একর আগুনের গতিবেগে এমন যে অংশ থেকে আগুনের টর্নেডো সৃষ্টি করেছে বলে জানাচ্ছে প্রশাসন।এরি মধ্যে ১২ হাজারের বেশি স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫০ মিলিয়ন ডলারে ঘন্টায় বাতাসের গতি ৯৬ কিলোমিটার।
ক্যালিফোর্নিয়ার ঘর হারানো মানুষের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছ।আগুনের পথে থাকা আরও কয়েক লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন এসব মানুষ এক কাপড় ঘর ছেড়ে আসা মানুষেরা খাবারের জন্য দাঁড়িয়েছে তেরান শিবিরগুলোর সামনে।নিহত ও নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধানে ছাইয়ের নিচে ও সন্ধান চালাচ্ছেন তারা।ক্যালিফোর্নিয়ার যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের পরিণাম দেখিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতির।সামনে উঠে আসছে এদেশটি অসহায়ত্ব।তবে মার্কিনীদের এই দূভোগ এখনি শেষ হচ্ছে না।আগুনের বেগ আরও বাড়বে বলে সতর্ক করছে প্রশাসন।আরও জনবহুল এলাকার দিকে এগুছে আগুন দাবালনের গতিপথে থাকা সানভ্যান্ত ভ্যালিতে কয়েক মিলিয়ন মানুষের বাস।সেখানে আগুন ছড়ালে পরিণতি কী হবে তা ভেবে সিউড়ি উঠছে দমকলকর্মীরাও।