আজ ০২ জানুয়ারি ২০২৫ সকাল ১১টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে প্রয়াত সভাপতি আয়শা খানমের পঞ্চম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন পূর্বক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত সভাপতির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।নীরবতা পালন শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তাগণ প্রয়াত আয়শা খানমের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ পূর্বক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। আয়শা খানমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংগঠনের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা পরিচালক শামীমা আফজালী শম্পা সংগীত পরিবেশন করেন।স্মৃতিচারণ করে কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা অদ্ভুত আধার এক ও হেলাল হাফিজের একটি পতাকার জন্যে কবিতাটি আবৃত্তি করেন আইটি কো-অর্ডিনেটর দোলন কৃষ্ণ শীল।
উক্ত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা.ফওজিয়া মোসলেম।বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু,ডেপুটি ডিরেক্টর(লিগ্যাল এডভোকেসি ও লবি)রামলাল রাহা।
সংগীত পরিবেশন ও আবৃতি শেষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রয়াত আয়শা খানমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন,আজ এমন একজন নারী নেত্রীর স্মরণে আমরা কথা বলছি যার সাহচর্যে আমরা দিনের পর দিন কাটিয়েছি,যাকে একেবারে খুব কাছ থেকে সবসময় দেখেছি।তিনি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর সংগঠন পরিচালনার মূল নেতৃত্বে আসেন এবং নারী আন্দোলনে ভূমিকা পালনে সংগঠনকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সুদুরপ্রসারী ও উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন,দিনের পর দিন সংগঠকদের সাথে নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।পাশাপাশি সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিতে উত্তরসূরীদের মধ্যে যৌথ নেতৃত্ব দানের সক্ষমতা গড়ে তোলা,আন্ত:সমন্বয় গড়ে তোলার মত মানসিকতা তৈরিতে তিনি যে সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন তা সংগঠনকে গতিশীল রাখতে আজও পথ দেখিয়ে যাচ্ছে।আয়শা খানমের প্রস্থানের পরে তার অভাব প্রতিমূহূর্তে অনুভূত হয় কিন্তু উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও রেখে যাওয়া কাজ সম্পাদনে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা ফওজিয়া মোসলেম বলেন,আয়শা খানম যে মাপের মানুষ তাকে কেবল একটি স্মরণসভার মধ্য দিয়ে স্মরণ করেই সম্ভব নয়,প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে আমরা আয়শা খানমকে স্মরণ করি।তার রেখে যাওয়া কাজের মধ্য দিয়ে তার ব্যপ্তিকে ধরে রাখার চেষ্টা করি।ষাটের দশকে যে পরিবার আমরা গড়ে তুলেছিলাম তা ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে।আয়শা খানম বলতেন একেক দশক শেষে একেক প্রজন্ম আসে,তাদের দূর্বলতা থাকে,তাদের দায়বদ্ধতা থাকে এবং তাদের কৃতিত্ব থাকে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তৈরি হওয়া গভীর সংকটে মানুষের পাশে থাকার জন্য আয়শা খানম আমৃত্যু সবসময় নিজেকে তৈরি করেছেন,নিজেকে যোগ্য করে তুলতে কাজ করে গেছেন যা আমাদের সকল সময়ের জন্য শিক্ষণীয়।
উক্ত কর্মসূচীতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেত্রীবৃন্দ, সম্পাদকমন্ডলী এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম।