সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি খ্রিস্টান ধর্মের কিছু রীতিনীতি পরিবর্তন সম্পর্কে সন্ধিহান হয়ে পড়েন।স্কুল জীবনে এফবিআই এর কাজ করার স্বপ্ন পূরণে তাকে আরবি ও পারস্য ভাষা শেখার পরামর্শ দেওয়া হয়।এ লক্ষ্যই তিনি ডার্টমাউথ কলেজের আরবি ভাষায় পড়াশোনা শুরু করেন।
এই ভাষা শেখার মাধ্যমে তিনি ইসলাম সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হন এবং প্রথমবার আজান শুনে গভীরভাবে প্রভাবিত হন।ইসলাম সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু হয়,খৃষ্টান বিশ্বাস কে আরো মজবুত করার প্রয়াসে,কিন্তু ধীরে ধীরে উপলব্ধি করেন যে ইসলামী তার কাঙ্ক্ষিত আত্মিক পরিপূর্ণতা রয়েছে।
ক্রিস্টান হয়েও তিনি ইসলামকে রীতিনীতি,বিশেষ করে নামাজ আদায় শুরু করেন।মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (MSA) প্রথমবারের মতো যোগদেওয়ার পর ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে তার চিন্তা চেতনার মিল খুঁজে পান।মাত্র দুই মাসের মধ্যেই তিনি সা শাহাদাহ(ঈমানের ঘোষণা)পাঠ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করে আদনান নাম হিসেবে পরিচয় দেন।
যদিও তার ধর্মান্তর তার পরিবারকে প্রাথমিকভাবে উদ্বিগ করেছিল, বিশেষ করে তার মা,আদনান তার বিশ্বাসে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।এ সময়ের মধ্যে তিনি এফবিআই তে দুটি ইন্টার্নশিপও সম্পূর্ণ করেন টপ সিক্রেট ক্লিয়ারেন্স পান।গোয়েন্দা বিশ্লেষক হিসেবে একটি চাকরির প্রস্তাব ও পান।তার লক্ষ্য ছিল বিশেষ এজেন্ট হওয়া।
কিন্তু ইসলামের বিশ্বাস বা আদর্শের সঙ্গে তার কর্মজীবনের নৈতিক দ্বন্দ তাকে ভাবিয়ে তোলে। বুঝতে পারেন যে,এফবিআইয়ের কাজ অনেক সময় মানুষের ওপর অত্যাচারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা ন্যায়বিচার ও মানবতার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এই উপলব্ধি থেকে আলেমদের পরামর্শে তিনি এফবিআই ছেড়ে মানুষের সেবা করার সিদ্ধান্ত নেন।বর্তমানে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএসডি গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন এবং তার জীবন ও কর্মের মাধ্যমে ইসলামের আদর্শে ঈমানের অনন্য যাত্রায় অন্যদের অনুপ্রাণিত করেছেন।