নারীর প্রতি হয়রানি ও নির্যাতন রোধে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে যে সমস্ত দাবী তুলে ধরা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল,যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে “কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন; কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন বিষয়ক আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন;কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে এবং সমাজে নারী শ্রমিকের যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করতে ২০০৯ সালে প্রদানকৃত মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন; সরকারি উদ্যোগে একটি তদারকি কমিটি গঠন; যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার নিষ্পত্তি করা ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন; বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর সংশোধনীতে (১ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রকাশিত গেজেট) উল্লেখিত নারীর প্রতি আচরণ সংক্রান্ত নতুন বিধি ৩৬১ক এবং এই বিধির ৩৬১ক (২)’এ বর্ণিত অভিযোগ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া মহামান্য হাইকোর্টের প্রদানকৃত নির্দেশনা-এর ভিত্তিতে করা এবং নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত সংস্কৃতি চর্চা অব্যবহত রাখা।
উল্লেখ্য,কর্মস্থল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল ধরনের সহিংসতা ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধের মাধ্যমে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানবাধিকার/শ্রমিক সংগঠনগুলোর একটি সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এই প্ল্যাটফর্মের সদস্য ১৪ টি সংগঠন,যার মধ্যে রয়েছে আওয়াজ ফাউন্ডেশন,বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস,বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন-বিএলএফ,বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিসিয়েটিভ-ইটিআই, ফাউন্ডেশন ফর ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট, ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশন, ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল-আইবিসি,কর্মজীবী নারী,মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন,মন্ডিয়াল এফএনভি,সলিডারিটি সেন্টার,সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশন এবং দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশন । প্ল্যাটফর্মটি গঠনের পর থেকেই কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিগত ২০০৯ সালে মহামান্য হাইকোর্টের প্রদত্ত নির্দেশনা মেনে কারখানা/প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি মুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন এর খসড়া প্রণয়ন এবং আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থনের জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।